1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

কিট নিয়ে তামাসা!

  • Update Time : রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০
  • ১৪৩ Time View

দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট আবিষ্কার লইয়া দুইপক্ষই পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলিয়া যাইতেছে। যাহা কখনোই কাম্য নহে। প্রথম যখন জানিতে পারিলাম দেশেরই একজন বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল ওই কিট আবিষ্কার করিয়াছেন, তখন আনন্দে মন ভরিয়া উঠিয়াছিল। এখন বিষাদে মন জ্বলিতেছে।

প্রধানমন্ত্রীও ওই বিজ্ঞানীরে ডাকিয়া কথা বলিতে চাহিয়াছেন। একটি তারিখও দেওয়া হইয়াছিল। কিন্তু ওই তারিখে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততা বাড়িয়া যাওয়ায় সাক্ষাতটি আর ঘটিতে পারে নাই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হইতে ড. বিজনকে জানানো হইয়াছে, খুব শিগগিরই দুজনের সাক্ষাত ঘটিবে। করোনা পরীক্ষার যে দ্রুত পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হইয়াছে তাহা বাস্তবায়নের লাগিয়া রিএজেন্ট আমদানির অনুমোদনের ব্যবস্থাও প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগেই করিয়াছেন। কারণ তিনি জানেন ঘাপলা হইতেই পারে।

ড. বিজনের এমন সাফল্য ইহাই প্রথম নহে। দুই দশক আগে ছাগলের মড়ক ঠেকাইতে পিপিআর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করিয়াছিলেন। ছাগলের মড়ক ঠেকাইয়া তিনি যে দেশে ছাগলের সংখ্যা বাড়াইয়া দিয়াছেন তাহা চারিপাশ দেখিয়াই বুঝিতে পারিতেছি। ওই বিজ্ঞানী সিঙ্গাপুরে সার্স ভাইরাসটিরও দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি উদ্ভাবন করিয়া ইতিহাসে নাম লেখাইয়াছেন। সার্স ভাইরাস শনাক্ত করার কিটের পেটেন্টে রহিয়াছে এই বিজ্ঞানীর নাম।

প্রধানমন্ত্রী এই দেশপ্রেমিক বিজ্ঞানীকে আমন্ত্রণ জানাইয়া বিব্রতই করিয়াছেন বলিয়া মনে হইয়াছে। তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করিয়া থাকেন সেই প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা আরেক দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নাখোশ হইয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, একটা জিনিস পাইলেই আমরা সবাই মিলিয়া অন্যদিকে লইয়া যাই। এখানে ব্যক্তিপূজা তো মুখ্য নহে। প্রধানমন্ত্রী তো কেবল ড. বিজন কুমার শীলকে ডাকিতে পারেন না। পুরো একটা টিম কাজটি সম্পন্ন করিয়াছে। ডাকিলে তো সবাইকেই ডাকিতে হইবে। এক মাস পার হইয়া গেল বিজ্ঞানী বাবুর আর ডাক আসিল না।

২.
দুইদিন আগে যখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বলিল, তাহারা অনুষ্ঠানের আয়োজন করিয়া সরকারের কাছে তাদের আবষ্কিৃত কিট পরীক্ষার জন্য তুলিয়া দিবে তখনই খটকা লাগিল। রিপোর্টারদের বলিলাম, খোঁজ নিয়া দেখতো সরকারি লোকজন এই বদান্যতা দেখাইবে কিনা? তাহারা খোঁজ আনিয়া দিল সরকারের পক্ষ থেকে কারণ উল্লেখপূর্বক চিঠি দিয়া আগেই জানাইয়া দেওয়া হইয়াছে ওই অনুষ্ঠানে তাহাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভন নহে। ওই অনুষ্ঠানে জাফরুল্লাহ সাহেব বলিলেন কী কারণে সরকারি লোকজন আসিল না তাহা তার বোধগম্য হইতেছে না।

আজ যখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের লোকজন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে গেল, তখন প্রশাসনের অধিকর্তা আমাদের জানাইলেন, কিট বাজারে আনিতে হইলে প্রটোকল মানিয়া কিভাবে কি করতে হয় সেই প্রসেসটা জানিতে তাহারা আসিয়াছিলেন। আমার সব কিছু তাহাদের বুঝাইয়া দিয়াছি। তাহারা বুঝিয়াছেন ইহাতেই আমার খুশী।
এরপর বিকালেই সংবাদ সম্মেলন করিয়া জাফরুল্লাহ সাহেব অভিযোগ করিলেন, প্রশাসন ঘুষ চায়। ভয়ঙ্কর অভিযোগ। প্রশাসন ঘুষে সন্তুষ্ট হইয়া থাকে ইহা সত্যি। করোনাযুগে চিকিৎসা ব্যবস্থা যে ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে ইহাতো দিব্য চোখেই দেখিতেছি। তাই বলিয়া নিজেদের বিজ্ঞানীর আবিষ্কার করা কিট লইয়া এমন রঙ্গ তামাসাতো মানিয়া লওয়া যায় না। আবারো রিপোর্টারকে বলিলাম খোঁজ লাগাও ঘটিয়াছে কী? অধিদপ্তরের অধিকর্তার সহিত যোগাযোগ স্থাপন কর। রিপোর্টার সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করিল। তাহার কথা শুনিয়া মনে হইলো কোথাও একটা গণ্ডগোল পাকিয়াছে। তিনি বলিলেন গণস্বাস্থ্যের লোকজন আসিয়া কিট পরীক্ষার জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করিযাছে। যাহা আমরা প্রথম থেকেই বলিয়া আসিতেছি। তাহারা রাজি হইল। এজন্য আমাদের কাছ থেকে চিঠি চাহিল। আমারও চিঠি দিয়া দিলাম। তাহার কোন কিট নিয়া আসে নাই। এখন বলিতেছে আমরা কিট গ্রহণ করি নাই। এরকম উল্টাপাল্টা বলিলে আমি কী করিবো। রাগিয়া গিয়া তিনি বলিয়াই দিলেন এমন করিতে থাকিলেতো তাহাদের আর এই অফিসে ঢুকিতেই দিবো না। বড়ই রাগের কথা। তিনি যদি তখন জানিতেন জাফরুল্লাহ সাহেব তাহার সম্পর্কে আরো কটু কথা বলিয়াছেন তাহলে না জানি কী মূর্তি ধারণ করিতেন তাহা অনুমানও করিতে পারিতেছি না।

৩.
আমরা চিকিৎসা বিভাগের লোক নই। বিজ্ঞানীও নই। আমরা পিসিআর টেস্টও বুঝি না। এন্টিবডিও বুঝি না। আমরা কিটও বুঝি না। আমরা বুঝি- মরিতে চাহি না আমি সুন্দর এই ভুবনে। আমরা বুঝি, আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম।
আর এখন দেখিতেছি কিটের মাঝে কীট। আমরা কি হইতেছি ফিট।

জায়েদুল আহসান পিন্টু

(লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)

দৈনিক প্রত্যয়/ জাতীয়/ জাহিরুল মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..